বাগেরহাটের চিতলমারীতে আল আমিন হোসেন হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১০ টায় এলাকাবাসির আয়োজনে চিতলমারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনা সোনাডাঙ্গা ২২ তলার সামনে চিতলমারীর হিজলা গ্রামের আল-আমিন হোসেনকে পরকিয়া প্রেমের জেরে পরিকল্পিতভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় আল-আমিনের বড় ভাই রাজু শেখ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নির্মম এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত আল-আমিন হোসেনের বড় ভাই রাজু শেখ, চিতলমালী উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য সচিব আসাদুল ইসলাম আছাদ, ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ হাসান শেখ, মোজাহিদুর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আল-আমিন হোসেন ইমন (২৬) খুলনার সোনাডাঙ্গা ২২ তলার সামনে দিয়ে মোটর সাইকেল যোগে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে অন্য দুইটি মোটর সাইকেলে আসা চার যুবক তার গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছু সময় পরে তিনি মারা যান। নিহত আল-আমিন হোসেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা হিজলা গ্রামের আউয়ুব আলী শেখের ছেলে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী ও নিহত আল-আমিন হোসেন জানান, তার ছোট ভাই আল-আমিনের স্ত্রী লামিয়ার সঙ্গে খুলনা বড় বাজারের ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহার পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি আল-আমিন জেনে গিয়ে ফোনে বিশ্বজিৎ সাহাকে কড়া ভাষায় গালাগালি করে। এর ফলে আল-আমিনকে শায়েস্তা করতে বিশ্বজিৎ সাহা ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে তাকে হত্যা করে। তিনি আল-আমিন হত্যাকান্ডে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম